খুলনা, বাংলাদেশ
সোমবার | জুন ৩০, ২০২৫ | ০৪:৩৬ দুপুর
logo

কয়রায় ঘেরের মৎস্য ও ফসল লুট গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক | ২২ এপ্রিল, ২০২৫ | মঙ্গলবার | রাত ১০:৩২

খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নে ঘেরের মৎস্য লুট ও জমি থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বড় বাড়ী গ্রামের জহুরুল ইসলাম।তিনি বড় বাড়ী গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র।

 ২১ এপ্রিল(সোমবার) কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবের উপস্থিতি হয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কালাম সরদার (৫০) ,সালাম সরদার (৪৫) মারুফ বিল্লাহ (২৬) ৪। মহিবুল্লাহ (২৩), ৫। মাসুমা খাতুন (৪৫),সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন আসামীর বিরুদ্ধে এই মর্মে সংবাদ সম্মেলন করিতেছি যে, আমার পিতা শফিকুল ইসলাম গাজী কয়রা থানাধীন কয়রা মৌজার এস.এ ১৬৪ ও ৮৮১ নং খতিয়ানে ১.২৬৫১ একর জমি মূল মালিকের নিকট হইতে বহু বছর পূর্বে খরিদ করিয়া সীমানা নিধারণ করিয়া ঘেরা বেড়া দিয়া বসত বাড়িঘর নির্মাণ করিয়া ও কিছু জমিতে মিষ্টি পানির মৎস্য ঘের ও ধান্য চাষ করিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছি। এমতাবস্থায় আসামীগন আমার মৎস্য ঘেরের জমি জবর দখল করিবার জন্য দীর্ঘদিন যাবত খুনজখমের হুমকি সহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিসাধন করিয়া আসিতেছে। গত ইং ১৬/০৪/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ৮.০০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আসামীগন সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন আসামী বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া হাতে ধারালো দা, কুড়াল, কোদাল, কাচি, লোহার রড ইত্যাদি লাঠিসোটা লইয়া অনধিকার পূর্বক আমার উক্ত মৎস্য ঘেরে প্রবেশ করিয়া মৎস্য ঘেরের আইল সীমানা কোদাল দিয়া কাটিয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৩০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে। এরপর আসামীগন আমার মৎস্য ঘেরে ও পুকুরে টানা জাল, খেপলা জাল দিয়া অনুমান ৯০,০০০/- টাকার মাছ ধরিয়া নেয়। এছাড়া আমাদের মৎস্য ঘেরের মধ্যে গরম মৌসুমে লাগানো ধান্য ফসল মূল্য ১,২০,০০০/- টাকা আসামীগন কাটিয়া ও কাটাইয়া তাহাদের বাড়িতে লইয়া যাইতে থাকে। তখন আমি বিষয়টি জানিতে পারিয়া ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীগনের অন্যায় কাজে বাধা প্রদান করিলে ১নং আসামী হুকুম দেয় যে, শালার জমিরসাধ মিটাইয়া দে। হুকুম পাইয়া ২নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া আমাকে হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে আমার বাম পায়ের উপরিপাতায় কোপ মারিলে হাড় মাংস কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ৪নং আসামীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমার বুকের ডানপজড়ে, পেটে, দুই হাত ও দুই পায়ে এলোপাতাড়ী আঘাত করিলে রক্তাক্ত জখম হয়। ৫নং আসামী আমার গলাচপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। তখন আমার হাকচিৎকারে আমার সহদর বোন আয়শা খাতুন (৩০) ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীগনের কবল হইতে আমাকে উদ্ধার করিতে গেলে ৩নং আসামীর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া আমার বোনের হত্যার অসৎ উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মারিতে গেলে আমার বন উক্ত ধারালো দা হাত দিয়া ঠেকাইলে আমার বোনের ডান হাতের তালুতে কোপ লাগিয়া মাংস ও হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম হইয়া মাটিতে পড়িয়া যায়। ৪নং আসামী আমার বোনের কাপড়চোপড় টানিয়া ছিড়িয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। ৫নং আসামী আমার বোনের চুলের মুঠি ধরিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাঠি দিয়া আঘাত করিয়া ফোলা জখম করে ও আমার বোনের গলায় থাকা ৮আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য ৬০,০০০/- টাকা জোর পূর্বক ছিড়িয়া নেয়। এরপর আমার মা সাজিদা বেগম (৫৫) আমাদের উদ্ধার করিতে আসিলে ১নং আসামী আমার মায়ের নাকে, মুখে ও মাথায় কিল ঘুষি মারিয়া কালশিরা ফোলা জখম করে ও গলা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া হত্যার চেষ্টা করে। তখন আমাদের হাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া আসামীদের কবল হইতে আমাকে, আমার বোন ও আমার মাকে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় উদ্ধার করে। আসামীগন ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যাইবার সময় পুনরায় যেকোন সময় আমাদের খুনজখম করিবে বলিয়া জীবন নাশের হুমকি দেয়। ঘটনার পর থানাধীন জায়গীরমহল হাসপাতালে ভর্তি হইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার বাম পায়ের উপরিপাতার কাটা স্থানে ৪টি সেলাই ও আমার বোন আয়েশা খাতুনের ডান হাতের তালুতে ৩টি সেলাই দিয়াছেন।

তিনি আরো বলেন,এহেন কর্মকান্ডে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যগন নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকিত অবস্থায় আছি। এমতাবস্থায় আমি প্রশাসনের নিকট সহযোগিতা কামনা করিতেছি।